Thursday, November 7, 2013

বৈবাহিক সমস্যা ও কুরআনের সমাধান




স্ত্রী পেটানো কি ইসলাম সমর্থন করে­ এ প্রশ্নটি দীর্ঘকাল ধর্মপরায়ণ শিক্ষিতা মুসলিম নারীদের মনে কাঁটা হয়ে বিঁধে ছিল। বিভিন্ন সময়ে সূরা নিসার এই ‘দরাবা’ সংক্রান্ত ৩৪ নম্বর আয়াতটির বিভিন্ন ব্যাখ্যা এসেছে। কোনো কোনো ইসলামি চিন্তাবিদ একে ‘চল্লিশ ঘা’ আবার কেউ কেউ ‘মৃদু আঘাত’ বলেছেন। কিন্তু সব ক’টি ব্যাখ্যার সাথেই শারীরিক আঘাত জড়িত রয়ে গেছে। ফলে এর একটি সুস্পষ্ট প্রভাব আমাদের সমাজে দেখা যায়। কারণে-অকারণে স্ত্রীকে আঘাত করা তাই অনেক মুসলিম পুরুষই তাদের অধিকার মনে করেন। অনেকে আবার একটু আগ বাড়িয়ে স্ত্রীকে পিটিয়ে শাসন করাকে নিজ পবিত্র দায়িত্ব মনে করেন। শরীরের আঘাত শুধু শরীরের সাথেই সম্পর্কিত থাকে না, তা মনের সাথেও গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। শারীরিক আঘাত কম হোক বা বেশি হোক তা আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন যেকোনো নারীর মনেই কঠিন অপমানবোধ সৃষ্টি করে। এমনকি তা ওই নারীর পুরুষ আত্মীয়দের মনেও কষ্ট দেয়। কাজেই বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ আব্দুল হামিদ আবু সুলেমান বলেছেন, সূরা নিসায় ব্যবহৃত ‘দরাবা’ শব্দটির অর্থ ‘পেটানো’, ‘প্রহার’, এমনকি ‘মৃদু আঘাত’ হিসেবেও নেয়ার অবকাশ নেই। তিনি তার Marital Discord : Recapturing the Full Islamic Spirit of Human Dignity বইতে বোঝাতে চেয়েছেন­ আরবি অভিধানে ‘দরাবা’ শব্দটির অনেক অর্থ রয়েছে; সে ক্ষেত্রে অন্য সব অর্থ বাদ দিয়ে স্ত্রীর ক্ষেত্রে ‘পেটানো’ বা ‘আঘাত করা’ অর্থটি গ্রহণ করা কতটা যুক্তিযুক্ত, বিশেষ করে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে, তা ভেবে দেখতে হবে।

ইসলামে মাতৃভাষার গুরুত্ব




এ পৃথিবীতে ১ লাখ বা ২ লাখ ২৪ হাজার পয়গম্বর বা নবী রাসূল এসেছেন। তারা স্বজাতির মাতৃভাষায় কথা বলতেন। তাদের প্রতি নাজিলকৃত আসমানি কিতাব ও ছহিফাগুলো স্বীয় মাতৃভাষায় প্রচার করতেন। আল্লাহপাক কুরআনে উল্লেখ করেছেনঃ আমি সব পয়গম্বরকেই তাদের স্বজাতির ভাষাভাষী করেই পাঠিয়েছি যাতে তাদের পরিষ্কার করে বুঝাতে পারে। (সূরা ইব্রাহিমঃ আয়াতঃ ৪)। হাদিস শরিফ থেকে প্রমাণিত হয়েছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহপাক পয়গম্বরেরগণের প্রতি যত কিতাব নাজিল করেছেন সেগুলোর আসল ভাষা ছিল আরবি জিব্রাঈল আঃ তার নিজ নিজ পয়গম্বরের জাতীয় ভাষায় অনুবাদ করে নবী রাসূলগণের কাছে পৌঁছাতেন। যেমন তাওরাত, জাবুর, ইনজিল প্রভৃতি কিতাব কোনোটা ইবরানি, কোনোটা হিব্রু, কোনোটা সুরিয়ানি বা ইউনানি ভাষায় রূপান্তরিত করে নবী-রাসূলগণ তাদের মাতৃভাষায় বা স্বজাতীয় ভাষায় বুঝাতেন। এতে বোঝা গেল যে, প্রত্যেক নবী-রাসূলই আপন জাতির মাতৃভাষায় আসমানি গ্রন্থাবলির নির্দেশিকা প্রচার করতেন। মূলত পয়গম্বরদের ইসলাম প্রচারের মাধ্যম ছিল মাতৃভাষা।
বিশ্বনবীর মাতৃভাষায় ইসলাম প্রচারঃ আমাদের সর্বশেষ প্রিয়নবী বিশ্বনবীর মাতৃভাষা ছিল আরবি। আর সর্বশেষ আসমানিগ্রন্থ আল কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে প্রিয়নবীর মাতৃভাষাতেই। অতঃপর তিনি মাতৃভাষাতেই কুরআনের বাণী প্রচার করে জগৎকে আলোকিত করেছেন।

আল্লাহর ভালবাসা পাওয়ার পথ

তামান্না রহমান সঞ্চিতা

সমুদয় প্রশংসা এই বিশ্বজগতের মালিক মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের জন্য, যিনি
মানবজাতির হেদায়াত ও মুক্তির জন্য যুগে যুগে নবী-রাসূল প্রেরণ করেছেন। হযরত
আদম (আঃ) ছিলেন প্রথম নবী ও রাসূল। কেবল এখানেই শেষ নয়, আল্লাহ্-তাআলা নবী-
রাসূলদের নিকট কিতাবও প্রেরণ করেছেন, যাতে তাঁরা কিতাবের নির্দেশ অনুযায়ী
উম্মতকে পরিচালিত করতে পারেন। নবী মুহাম্মদ (সাঃ) ছিলেন সর্বশক্তিমান আল্লাহ্র
প্রেরিত সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল। তাঁর মাধ্যমে নবী-রাসূলদের আগমন ধারা সমাপ্ত
হয়েছে। কিয়ামত পর্যন্ত আর কোন নবী-রাসূল আগমণ করবেন না। আসবেনা কোন
আসমানী কিতাবও। মহাবিশ্বের মহাবিস্ময়, মহাগ্রন্থ “আল-কোরআন” সর্বশেষ ও
চূড়ান্ত আসমানী কিতাব। এটি শুধু আরব জাতির জন্য নয় বরং সমগ্র বিশ্ববাসীর

সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত সালাত




ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। সালাত বা নামাজ তার মধ্যে অন্যতম এবং ইবাদতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ। তাই পবিত্র কুরআনে ৮২ জায়গায় সালাত কায়েম করার জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে। ইসলামে সালাতের গুরুত্ব যেমন অপরিসীম তেমনি আল্লাহ পাকের রহমত এবং ইহ-পরোকালের মুক্তিলাভের প্রধান অবলম্বন হিসেবে সালাতের বৈশিষ্ট্য তাৎপর্যবহ।
আমরা দিনে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে থাকি। এই পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের মধ্যে ১৭ রাকাত ফরজ সালাত আল্লাহ পাক নির্ধারিত করে দিয়েছেন। ইবাদতের ক্ষেত্রে ফরজ সালাতের গুরুত্ব অপরিসীম। এটি আল্লাহ পাকের হুকুম। সালাত (নামাজ) প্রধানত চার প্রকার। ফরজ, সুন্নাত, ওয়াজিব ও নফল। স্বয়ং আল্লাহ পাক যে সালাত আদায় করতে বলেছেন, তাই ফরজ সালাত। ফরজ সালাত আবার দুই প্রকার­ ফরজে আইন ও ফরজে কেফায়া। ফরজ সালাত প্রত্যেক মুসলমানের জন্য সমানভাবে ফরজ। যেমন পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ও জুমার সালাত। ফরজে কেফায়া প্রত্যেকের ওপর সমান ফরজ হলেও তা একটি এলাকায় সবার পক্ষে কিছুসংখ্যক লোক আদায় করলে এই ফরজে কেফায়া আদায় হয়ে যায়। যেমন জানাজার সালাত। সুন্নাত সালাত আবার দুই প্রকার­ সুন্নাতে মোয়াক্কাদা ও সুন্নাতে জায়েদা।
ওয়াজিব সালাত হচ্ছে­ দুই ঈদের সালাত ও বিতরের সালাত। নফল সালাত আদায় করার মধ্যে রয়েছে অতিরিক্ত সাওয়াব অর্জনের স্বীকৃতি। প্রকৃতপক্ষে বেশি বেশি নফল ইবাদতের মাধ্যমেই আমরা আল্লাহ পাকের নৈকট্য ও সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি। মাকরুহ সময় ছাড়া অন্য যেকোনো সময় নফল সালাত আদায়কালে অশেষ রহমত, বরকত ও নেয়ামত পাওয়া যায়।

কোরআন ও হাদীসে নারীর অধিকার


০ ‘পুরুষদের যেমন স্ত্রীদের উপর অধিকার রয়েছে। তেমনি নিয়ম অনুযায়ী স্ত্রীদের ও অধিকার রয়েছে পুরুষদের উপর। আর নারীদের উপর পুরুষের শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে। আলস্নাহ হচ্ছেন মহাপরাক্রমশালী, (সুরা বাকারা ২২৮ আয়াত)।

০ ‘স্ত্রীরা তোমাদের পোশাকস্বরূপ এবং তোমরাও তাদের জন্য পোশাকস্বরূপ’ (সুরা বাকারা ১৮৭ আয়াত)।

০ ‘তোমরা তোমাদের স্ত্রীদেরকে তাদের মোহর খুশি মনে দাও’ (সুরা নিসা-৪ আয়াত)।

০ পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে পুরুষদেরও অংশ আছে এবং পিতা-মাতা আত্মীয়-স্বজনদের রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে নারীদেরও অংশ আছে (সরা নিসা-৭ আয়াত)।

০ তোমরা স্ত্রীদের (হকের ) ব্যাপারে আলস্নাহকে অবশ্যই ভয় করে চলবে।

০ ‘রাসুলস্নাহ (সাঃ) বলেছেন, তোমাদের নিকট সেই ব্যক্তি উত্তম, যে তার স্ত্রীর নিকট উত্তম’ (তিরমিজী)।

রোগীর সেবা শ্রেষ্ঠ ইবাদত



প্রত্যেক ধর্মেই রোগীর সেবা করার তাগিদ দেয়া হয়েছে। আর বিনিময় হিসেবে বড় ধরনের পুণ্য কিংবা প্রতিদানেরও প্রতিশ্রুতি রয়েছে। ইসলাম ধর্মে নফল ইবাদতের মধ্যে সবচেয়ে বড় পুণ্য হলো মানুষের উপকার করা। আর সবচেয়ে জঘন্য পাপ হলো অন্যায়ভাবে কোনো মানুষকে কষ্ট দেয়া। হাদিস শরিফে উল্লেখ আছে, কেউ যদি কোনো মানুষের একটু উপকার করে কিংবা চলার পথে কোনো পথচারীর কষ্ট হবে ভেবে পথের ওপর থেকে একটি কাঁটা বা কষ্টদায়ক এক টুকরো বস্তু উঠিয়ে নিয়ে দূরে ফেলে দেয় তাহলে ওই ব্যক্তি মসজিদে বসে ১০ বছর এতেকাফ করার চেয়েও উত্তম নেকি পাবে। সে দৃষ্টিকোণ থেকে রোগীর সেবাও যে একটি শ্রেষ্ঠ ইবাদত সেটি সহজেই অনুমেয়। হাদিসের আলোকে দেখা যায়, একজন মুসলমানের আরেক মুসলমানের কাছে যে ছয়টি হক রয়েছে তার মাঝে প্রথম এবং প্রধান হক হলো রোগ হলে তাকে দেখতে যাওয়া। সাধ্যমতো সেবা শুশ্রূষা করা। এটি রোগীর প্রতি দয়া নয় বরং রোগীর হক আদায় করা। আল্লাহ হয়তো বা আল্লাহর হকের জন্য তাঁর বান্দাকে ক্ষমাও করে দিতে পারেন। কিন্তু বান্দার হকের জন্য তাঁর বান্দা ক্ষমা না করলে তা কখনো আল্লাহ ক্ষমা করবেন না।
রোগীর সেবা কখনো কখনো নফলের চেয়েও বড় নফল, সুন্নতের চেয়েও বড় সুন্নত, এমনকি ফরজের চেয়েও বড় ফরজ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ ইসলামী বিধান মতে, কোনো ব্যক্তি নামাজে দাঁড়িয়ে যাওয়ার পর যদি পাশে কোনো রোগীর হঠাৎ রোগ বেড়ে গিয়ে যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে মৃত্যুমুখে উপনীত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয় তখন ওই নামাজির ফরজ নামাজও ভেঙে ফেলে ওই রোগীর জান বাঁচানো নামাজের চেয়েও বড় ফরজ হয়ে দাঁড়াবে। ইবাদতের নিয়তে তথা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কোনো রোগীকে প্রয়োজনে মাত্র একটি প্যারাসিটামল ট্যাবলেট দিয়েও কিংবা শুধু একটু সান্ত্বনার বাণী শুনিয়েও আমরা অনেক বড় ধরনের পুণ্য অর্জন করতে পারি। এ ব্যাপারে প্রচুর হাদিস রয়েছে।

Sunday, March 31, 2013

ইসলামে পারিবারিক বিকাশের কথা

ইসলাম পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধর্ম। এই শ্রেষ্ঠত্ব অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক সব ক্ষেত্রের মতো পারিবারিক ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। মানবজাতির প্রাথমিক ভিত্তি হলো তার পরিবার। পরিবার থেকেই পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে সমাজ, অতঃপর অর্থনৈতিক লেনদেন, সেখান থেকে রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সুত্রপাত। এভাবে মানবজাতির বিকাশ, সমাজ সভ্যতার সৃষ্টি, সংস্কৃতিবোধের উন্মেষ। যে জাতির পারিবারিক বন্ধন যত দৃঢ় সে সমাজ ততই উন্নত ও শক্তিশালী। পারিবারিক বন্ধনকে সুদৃঢ় করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন মুসলিম সমাজে তার সব কিছুই বিদ্যমান রয়েছে। মুসলিম দেশগুলোর এই পারিবারিক সুদৃঢ় বন্ধনের ওপর ঈর্ষান্বিত হয়ে

Wednesday, March 20, 2013

আজান-ইকামাতের জবাবের ফজিলত


পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য আজান দেয়া হয় আর জামাতে নামাজ আদায়ের আগে দেয়া হয় ইকামাত। আজান এবং ইকামাত শুনলে ধর্মের নিয়মানুযায়ী জবাব দিতে হয় আর এ জবাবের জন্য রয়েছে পুণ্য। আমরা আজানের জবাব দিলেও ইকামাতের জবাব হয়তো অনেকেই দেই না। কেউ কেউ শুধুমাত্র আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ -এর জবাব দিয়ে থাকেন। যারা ইকামাতের জবাব দিতে হবে জানেন এবং জবাব দিতে সচেষ্ট, তারা কিন্তু পুরো জবাব দিতে সক্ষম হন না অনেক ইমাম সাহেব আর খতিব সাহেবদের অসচেতনার কারণে। কারণ মুয়াজ্জিন সাহেব ইকামাতের শেষ শব্দ 'লা ইলাহা ইলস্নালস্নাহ' বলার আগেই অধিকাংশ ইমাম সাহেব আর খতিব সাহেব তাকবীরে তাহরীমা 'আল্লাহু আকবার' বলে থাকেন। এক্ষেত্রে নিজে তো ইকামাতের জবাব দেয়ার প্রয়োজন মনে করেন না, মুসুলিস্নরাও জবাব দেয়ার সুযোগ পান না। মুয়াজ্জিনের ইকামাতের শেষ শব্দ 'লাইলাহা ইলস্নালস্নাহ' শেষ না করতেই

Tuesday, March 19, 2013

নাস্তিক

নাস্তিকতা কিঃ নাস্তিকতা এক ধরনের অহংকারী মানসিকতা। যেখানে কেও নিজেকে/মানুষকে শ্রেষ্ঠ মনে করে এবং নিজের চেয়ে শ্রেষ্ঠতর কোন স্রষ্টার অস্তিত্ব মেনে নিতে পারে না। فِي قُلُوبِهِم مَّرَضٌ فَزَادَهُمُ اللَّهُ مَرَضًا ۖ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ بِمَا كَانُوا يَكْذِبُونَ [٢:١٠] তাদের অন্তঃকরণ ব্যধিগ্রস্ত আর আল্লাহ তাদের ব্যধি আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন। বস্তুতঃ তাদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে ভয়াবহ আযাব, তাদের মিথ্যাচারের দরুন।
নাস্তিকতা কেন হয়ঃ এমন মানসিকতা তৈরি হয় যে “আমি একাই যথেষ্ট, আলাদা কোন স্রষ্টার সাহায্য ছারাই আমার চলে”। আস্তিকদের তখন অন্যের দাস এবং নিজেকে ইচ্ছাস্বাধীন বলে মনে হয়।
নাস্তিকতা কিভাবে হয়ঃ إِلَّا إِبْلِيسَ اسْتَكْبَرَ وَكَانَ مِنَ الْكَافِرِينَ কিন্তু ইবলীস; সে অহংকার করল এবং অস্বীকারকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল। (Saad: 74)
১। অন্যের দ্বারাঃ বিভিন্ন নাস্তিক মানুষের কথায় প্রভাবিত হয়ে বা নাস্তিক লেখকের বই পড়ে। এরা না বুঝেই নাস্তিক।
২। অপর্যাপ্ত জ্ঞ্যানের কারনেঃ এরা বিজ্ঞানের কিছু তথ্য জানার পর তার আলোকে দুনিয়া বিশ্লেষন করার চেষ্টা করে। কিছুজিনিষ মিলে গেলে ভাবে সবকিছুই এভাবে মেলানো যাবে। তাদের কাছে তখন সৃষ্টিকর্তা অপ্রয়োজনিয় মনে হয়। নিজেকে তখন তারা সর্বশ্রেষ্ঠ মনে করে আর তাদের মনে শ্রেষ্ঠত্বের অহংকার তৈরি হয়। এই অহংকারের কারনে পরবর্তিতে সত্যজ্ঞান লাভ করলেও আর নিজের চেয়ে শ্রেষ্ঠতর কোন স্রষ্টার অস্তিত্ব মেনে নিতে পারে না।
৩। হতাশার থেকেঃজীবনের বিভিন্ন পর্যায়ের দুঃখ, অপ্রাপ্তি ও ব্যার্থতার কারনে মানুষ অনেক সময়ই স্রষ্টার রহমতের উপর নিরাশ হয়ে যায়। ভাবে যে তারা নিজের যোগ্যতাতেই টিকে আছে। এবং তারা হতাশার কারনে স্রষ্টাকেই অস্বিকার করে। নিজেকে তখন তারা শ্রেষ্ঠ মনে করে আর শ্রেষ্ঠত্বের অহংকারের কারনে পরবর্তিতে শ্রেষ্ঠতর কোন স্রষ্টার অস্তিত্ব মেনে নিতে পারে না।
(Az-Zumar: 53) বলুন, হে আমার বান্দাগণ যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
(Al-Hijr: 56) তিনি বললেনঃ পালনকর্তার রহমত থেকে পথভ্রষ্টরা ছাড়া কে নিরাশ হয় ?
(Al-Ankaboot: 23) যারা আল্লাহর আয়াত সমূহ ও তাঁর সাক্ষাত অস্বীকার করে, তারাই আমার রহমত থেকে নিরাশ হবে এবং তাদের জন্যেই যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে।
৩। অতিরিক্ত বিশ্বাস যুক্ত আস্তিকতাঃ وَمَا يُؤْمِنُ أَكْثَرُهُم بِاللَّهِ إِلَّا وَهُم مُّشْرِكُونَ অনেক মানুষ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, কিন্তু সাথে সাথে শিরকও করে (Yusuf: 106)। এরা এক স্রষ্টা ছারাও আরও অনেক কিছুকেই অদ্রিষ্টের উপর দায়িত্বশিল বলে বিশ্বাস করে। যেমন অনেকেই বসের উপর অতিরিক্ত বিশ্বাস রাখে, ভাবে “বস খুশি হলেই আমার প্রমোশন হবে, কাজ/নৈতিকতা কোন ব্যপার না”। এরকম স্রষ্টা ছারা অন্য কিছুকে নিয়তি পরিবর্তন করতে পারে বিশ্বাস করাকেই শিরক বলা হয়।

নেপালের মিনার মিরাকল


একটি ইউটিউব ভিডিও নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে বিশ্বজুড়ে তোলপাড় চলছে। ভিডিওটি নেপালের একটি মসজিদের মিনারকে কেন্দ্র করে। তাতে দেখা যায় যে, মসজিদের মিনারটি এমনিতেই বাতাসে ভেসে আকাশে উঠে জায়গা মতো বসে যাচ্ছে। আর তা লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহ জিকিরের সাথে দেখছে শত শত মুসলিম।

ভিডিওটা যা-ই হোক না কেন, তার চেয়েও আকর্ষণীয় হলো এর সাথে সংশ্লিষ্ট বক্তব্য। বলা হচ্ছে, মসজিদটির মিনার নির্মাণের পর তা উঠাতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ব্যাহত হলে প্রশাসনের সাহায্য চাওয়া হয়। প্রশাসন সাফ বলে দেয়, আমরা পারব না, তোমাদের আল্লাহকে বলো। এরপর এক টুকরো মেঘ ঘিরে নেয় মিনারটিকে, আর মিনারটি আপনা আপনি উঠে যায় আকাশে, বসে যায় জায়গা মতো।

আরো একটি ঘটনা পেলাম। তা হলো, মসজিদের ইমাম সাহেব স্বপ্নে দেখেন, তাকে বলা হচ্ছে যেন তিনি একটি সাদা কাপড় দিয়ে মিনারটি ঢেকে দেন। তিনি তা করেন। পরে মিনারটি আপনা আপনি উঠে যায় আকাশে। যা শত শত মানুষ খালি চোখে প্রত্যক্ষ করে।

ইসলামের কিছু আলৌকিকত্ব

ইসলামের কিছু আলৌকিকত্

রাশিয়ার শিশুর শরীরে কোরআনের আয়াত!

শিশুর শরীরে কোরআনের আয়াত
রাশিয়ার মুসলিম অধ্যুষিত দাগেস্তান প্রদেশে এক বিস্ময়কর শিশুর সন্ধান পাওয়া গেছে। শিশুটির হাত ও পায়ের চামড়ায় কোরআনের আয়াত ভেসে ওঠে কিছুদিন পর

হেরা পর্বত

রাসুল (সাঃ) এই হেরা পর্বত এ ধ্যান করতেন। মহা-পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআন নাজিল হওয়ার আগে রাসুল (সাঃ) টানা ৪০ দিন এই ৩০০০ ফুট উচু পর্বতে ধ্যান করেছিলেন। চুড়ায় উঠে আরো ৪০ ফুট নিচে নামলে একটি গুহা আছে, সেখানে বসে তিনি ভাবতেন। মক্কায় প্রায় ৬,৫০০ পর্বত রয়েছে; কিন্তু, রাসুল (সাঃ) হেরা কে বেছে নেন কারন -- এই গুহা হতে তাকালে সরাসরি ৪ কিলোমিটার দূরে পবিত্র বায়তুল্লাহ দেখা যায়।

কুরবানির ইতিহাস

পৃথিবীর ইতিহাসে কুরবানি কবে থেকে চালু হয়েছে জানতে গেলে আল্লহ বলেন, আমি প্রত্যেক জাতির জন্য কুরবানির বিধান দিয়েছি যাতে তারা পালিত চতুস্পদ জন্তুর উপর আলস্নাহর নাম উচ্চারণ করে যা তিনি তাদেরকে খোরাকী স্বরূপ দান করেছেন (সূরা হজ্জ ৩৪ আয়াত)

উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় আল্লামা নাসাফী ও যামাখশারী বলেন, (হযরত আদম (আ) থেকে হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (স) পর্যন্ত) প্রত্যেক জাতিকে আলস্নাহ তাআলা তাঁর নৈকট্য লাভের জন্য কুরবানির বিধান দিয়েছেন। (তফসীরে নাসাফী ৩য় খন্ড ৭৯ পৃষ্ঠা ও কাশশাফ ২য় খন্ড ৩৩ পৃষ্ঠা)

ইসলামি ব্যাংকিং আলোচনা

আমরা ব্যাংকের সংজ্ঞা এভাবে দিতে পারি, অর্থের লেনদেনকারী এমন এক মধ্যস্বত্ত্বভোগী প্রতিষ্ঠানকে ব্যাংক বলা হয়, যা জনগণের কাছ থেকে বিক্ষিপ্ত, উচ্ছিষ্ট ও নিষ্ক্রীয় পুঁজিসমূহ সংগ্রহ করে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোক্তা ও পুঁজি প্রত্যাশী ব্যক্তিদেরকে উচ্চ সুদ বা লাভের শর্তে ঋণ হিসেবে অর্থ প্রদান করে থাকে এবং নোট ও চেকের প্রচলন দান, অর্থ সংরক্ষণ, বিল বাট্টা করণ, অর্থ স্থানান্তর ও অর্থ সংক্রান্ত অন্যান্য দায়-দায়িত্ব আঞ্জাম দিয়ে মুনাফা অর্জন করে থাকে।

মোনাজাত


হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী কোরো না।
হে আমাদের পালনকর্তা! এবং আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছ।
হে আমাদের প্রভূ! এবং আমাদের দ্বারা ঐ

ইসলাম


ইসলাম আর্লাহ তা'য়ালার মনোনীত 'দ্বীন' বা জীবন ব্যবস্থা। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষ কিভাবে জীবন যাপন করবে ইসলামে তার পথ নির্দেশ রয়েছে। অন্য কথায়, মানুষ যে উপায় অবলম্বন করে আল্লাহকে জানতে ও চিনতে পারে তাইকে ইসলাম বলা হয়।

বিশ্ব ইজতেমার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস


কালীন ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী দিল্লীর দক্ষিণাঞ্চলের এলাকা হরিয়ানা মেওয়াত অধিবাসী ধর্মকর্মহীন কুসংস্কারাচ্ছন্ন মুসলমানদের উদ্দেশে কথাগুলো বলেছিলেন বিশ্বব্যাপী সমাদৃত আজকের তাবলীগ জামায়াতের সার্থক রূপকার হযরত মাওলানা ইলিয়াছ কান্ধলভী (রহ.)। তিনি বলেছেন-দাওয়াত ও তাবলীগের হাকিকত বা উদ্দেশ্য হল 'ঈমানের দাওয়াত। এ দাওয়াত নিজের সংশোধন তথা সমগ্র মানবজাতির মুক্তির দাওয়াত। ঈমানের এই দাওয়াতের উদ্দেশ্য হল আল্লাহর দেয়া জীবন, সম্পদ এবং সময় আল্লাহর রাস্তায় বের হয়ে এর সঠিক ব্যবহার শিক্ষা করা এবং বাস্তব জীবনে এর সঠিক প্রয়োগ করার পাশাপাশি আল্লাহ ভোলা মানুষকে আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক করে দেয়ার মেহনত করা। মানবজীবনে আজ এই দাওয়াতের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

Monday, March 18, 2013

পর্দা: নারীর মর্যাদার প্রতীক

يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُل لِّأَزْوَاجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَاء الْمُؤْمِنِينَ يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِن جَلَابِيبِهِنَّ ذَلِكَ أَدْنَى أَن يُعْرَفْنَ فَلَا يُؤْذَيْنَ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا

অর্থাৎঃ "হে নবী! তুমি তোমার পত্নী, তোমার কন্যা এবং মোমেনগণের পত্নীগণকে বল, যেন তাহারা তাহাদের চাদর নিজেদের উপর (মাথা হইতে টানিয়া মুখমণ্ডল পর্যন্ত) ঝুলাইয়া লয় এতদ্বারা তাহাদের পরিচয় অত্যন্ত সহজ হইবে এবং তাহাদিগকে কষ্ট দেওয়া হইবে না বস্তুতঃ আল্লাহ অতীব ক্ষমাশীল, পরম দয়াময়" (সূরা আহযাবঃ ৬০)

"পর্দা নারীর মর্যাদার প্রতীক" বিষয়টি নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সময়োপযোগী বেপর্দা আর নারী-পুরুষের অবাধ মোলা-মেশা সমাজে কেমন বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে এবং নারীকে কীভাবে ভোগ্য-পণ্যের বস্তুতে পরিণত করেছে তা আমরা আমাদের চারদিকে লক্ষ্য করলেই দেখতে পাই পারিবারিক সামাজিক বিশৃঙ্খলা, অশান্তি, দাম্পত্য-কলহ পারস্পরিক অবিশ্বাস, বিবাহ-বিচ্ছেদ, নারী-নির্যাতন ইত্যাদি সবকিছুর পেছনেই একটি প্রধান কারণ হলো পর্দাহীনতা এবং নর-নারীর অবাধ মেলা-মেশা